শেরপুর জেলার জামদানী কুটির শিল্প
- Update Time :
বৃহস্পতিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২১
-
৬৪
Time View
মোঃ সোহাগ মিয়া শেরপুর জেলা প্রতিনিধি আইডি নংঃ ১০১৭
শেরপুর জেলার চরশেরপুর এলাকার হাইট্টা পাড়া নামক গ্রামে মোঃ কামরুল হাসান “মেসার্স সুমন জামদানি কুটির” নামে ২০০৭ সালে এ কুটির শিল্পটি শুরু করেন।
এই জামদানী কুটিরে মোট ০৩টি কারখানা, ০১টিতে মহিলা শ্রমিক ও অপর ০২টিতে পুরুষ শ্রমিকরা কাজ করেন। বর্তমানে এ কুটির শিল্পে প্রায় ৫০ জন শ্রমিক কাজ করেন। এক একটি কারখানায় প্রায় ১৫-২০ জন শ্রমিক কাজ করেন। তাঁতগুলো সপ্তাহের সাত দিনই সকাল থেকে রাত অবধি চালু থাকে৷
এর মাঝে একটু জেনে নেই জামদানী কিভাবে এলো দেশেঃ
জনশ্রুতি আছে অতীতে সোনারগাঁও সংলগ্ন এ এলাকার মানুষরা বিশ্বখ্যাত মসলিনের কারিগর ছিলেন৷ ইংরেজরা এ শিল্পকে ধ্বংস করে দেয়ার পর, এ সব এলাকার মানুষেরা ফিরে যান কৃষি পেশায়৷ ইংরেজদের শাসনের অবসানের পর মসলিন শিল্পীদের বংশধররা আবারও শুরু করেন মসলিন তৈরি৷ কিন্তু তাঁরা ব্যর্থ হন৷ মসলিনের আদলেই তাঁরা তৈরি করেন নতুন এক কাপড়, যা পরিচিত পায় জামদানি হিসেবে৷
জামদানি কারখানাগুলোর সার্বক্ষণিক দেখভাল করেন মহাজন কামরুল হাসান ৷ জামদানি শ্রমিক মজুরি পান শাড়ি প্রতি চুক্তি হিসেবে৷ প্রতিটি শাড়ী তৈরিতে সময় লাগে প্রায় ০৩ দিন আর শ্রমিকরা বেতন পান ২৫০০ টাকা করে। সাধারণত একটি শাড়ি তৈরি করতে দু’জন শ্রমিকের প্রয়োজন হয়৷ একজন কারিগর ও অন্যজন তাঁর সাহায্যকারী৷
শেরপুরের এ কুটির শিল্পে ৩,৫০০- ১৫,০০০ টাকা মূল্যের শাড়ী তৈরি হয়। তবে কামরুল হাসানের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, পছন্দ অনুযায়ী শাড়ী তৈরি করতে রকম ভেদে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাম হতে পারে।
জামদানি বলতে সবাই সাধারণত শাড়ি বুঝলেও বর্তমান সময়ে জামদানি দিয়ে পাঞ্জাবি, সালোয়ার কামিজ তৈরি হচ্ছে শেরপুরের এই জামদানী কুটিরে।
Please Share This Post in Your Social Media